সুনামগঞ্জ , সোমবার, ১২ মে ২০২৫ , ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সম্মিলিত প্রচেষ্টায় স্বপ্নের সুনামগঞ্জ গড়তে চাই - জেলা প্রশাসক সীমান্তে রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করেছে ভারত পূর্ব নির্ধারিত স্থানে সুবিপ্রবি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন ছাতক-দোয়ারাবাজারে লিচুর বাম্পার ফলন, চাষীদের মুখে হাসি জেলা জামায়াতের লিডারশীপ ট্রেনিং ক্যাম্প অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের মাঝে আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ সেলিনা হায়াৎ আইভী কারাগারে ধানের পর খড়ের জন্য কৃষকের ব্যস্ততা সংগ্রহ হবে আড়াইশ কোটি টাকার গো-খাদ্য সুরমা গিলছে বসতভিটা-কৃষিজমি আতঙ্কে মাছিমপুর গ্রামের মানুষ জামালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আনফর আলী গ্রেফতার হাওরের সমস্যা সমাধানে স্থায়ী উদ্যোগ নেয়া হবে : যুগ্ম সচিব আব্দুল্লাহ আল আরিফ আ.লীগের ক্লিন ইমেজের ব্যক্তিদের বিএনপি’র সদস্য হতে বাধা নেই : রিজভী দেশ ছাড়লেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বিশ্বম্ভরপুর ইউএনও’র পদত্যাগ দাবিতে লংমার্চ হাসপাতালে স্ত্রীর লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে গেল স্বামী চলতি মাসে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশে ২৩টি মিটিং করেছে : হাসনাত আব্দুল্লাহ জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উদ্বোধন আমাদের সীমান্ত সম্পূর্ণ নিরাপদ : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জেলা পুলিশের কল্যাণ ও অপরাধ বিষয়ে সভা অনুষ্ঠিত গোলা ভরে ধান তুলে স্বস্তিতে কৃষক

সুরমা গিলছে বসতভিটা-কৃষিজমি আতঙ্কে মাছিমপুর গ্রামের মানুষ

  • আপলোড সময় : ১০-০৫-২০২৫ ০১:৪৫:৪৮ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১০-০৫-২০২৫ ০১:৪৫:৪৮ পূর্বাহ্ন
সুরমা গিলছে বসতভিটা-কৃষিজমি আতঙ্কে মাছিমপুর গ্রামের মানুষ
আশিস রহমান :: পশ্চিম মাছিমপুর গ্রামের ষাটোর্ধ্ব মোজাহিদ (৬৮) মিয়া। চোখের সামনেই সুরমা নদীগর্ভে বিলীন হতে দেখেছেন নিজের বসতভিটা, ফসলি জমি ও গাছপালা। নদী ভাঙনের কবলে পরে পরপর তিনবার বসতঘর স্থানান্তর করতে হয়েছে তাঁকে। সুরমায় পৈতৃক বাড়ি, জমিজমা সবকিছু হারিয়ে এখন মাথাগোঁজার শেষ সম্বল বাড়িটুকু নিয়ে দুশ্চিন্তায় সময় কাটছে তাঁর। ভয় হয় কখন জানি এই বাড়িকেও গ্রাস করে বসে সুরমার ভাঙন। মোজাহিদ মিয়া আক্ষেপ করে বলেন, আমাদের পরিবারের তিন প্রজন্মের জমিজমা, বসতবাড়ি সুরমা নদীতে বিলীন হয়েগেছে। আমাদের আর কোনো জমি নেই। একই গ্রামের সত্তরোর্ধ্ব দুলাল মিয়া (৭৫)। মুজাহিদ মিয়ার মতো তিনিও তিনবার বসতঘর স্থানান্তর করেছেন নদী ভাঙনের কবলে পড়ে। দুলাল মিয়া বলেন, নদী ভাঙনে ঘরবাড়ি জমিজমা হারিয়ে প্রায় দুইশতাধিক পরিবার এখন উদ্বাস্তু। কেউ সরকারে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে উঠেছেন, কেউ অন্যের জমিতে আশ্রয় নিয়েছেন আবার কেউ এলাকার বাইরে থিতু হয়েছেন। শুধু মোজাহিদ এবং দুলাল মিয়াই নয়, সুরমার ভাঙনে দোয়ারাবাজার উপজেলার মাছিমপুরের পূর্ব ও পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দারা প্রতিনিয়তই এখন ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, প্রতি বছরই গ্রামের অন্তত দুই থেকে পাঁচটি করে পরিবার ঘর স্থানান্তর করছেন নদী ভাঙনের কবলে পড়ে। ভাঙতে ভাঙতে এখন গ্রামের অর্ধেকই বিলীন হয়েগেছে। স্থানীয়রা জানান, এই ভাঙন সমস্যা নতুন নয়। কয়েক যুগ ধরেই চলছে। তবে এক দশক ধরে ভাঙনের মাত্রা তীব্র আকার ধারণ করেছে। বিগত সরকারের আমলে স্থানীয় সংসদ সদস্য থেকে শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের সাথে বার বার যোগাযোগ করেও দায়সারা আশ্বাস ছাড়া আর কোনো কাজ হয়নি। ভাঙন প্রতিরোধে এখনই দ্রুত উদ্যোগ না নেওয়া হলে পুরো গ্রামটিই নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। উদ্বাস্তু হবে শত শত পরিবার। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, দোয়ারাবাজার উপজেলা শাখার আহ্বায়ক ও স্থানীয় বাসিন্দা এসার মিয়া বলেন, বিগত পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দোয়ারাবাজারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের শত কোটি টাকার নদী ভাঙন প্রতিরোধ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। অথচ সবচেয়ে বেশি ভাঙন কবলিত পশ্চিম ও পূর্ব মাছিমপুর গ্রামকে এই প্রকল্পের বাইরে রাখা হয়েছে শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে। বর্তমানে ভাঙন প্রকট আকার ধারণ করেছে। ভাঙন রোধে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানাই। দোয়ারাবাজার সদর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান মিজু বলেন, ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে একাধিক বার লিখিতভাবে আবেদন করেছি। কিন্তু আমাদেরকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। নদী ভাঙন প্রতিরোধ প্রকল্পের কাজে আমাদের এলাকাকে বাদ দিয়ে অন্য এলাকায় কাজ করা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দোয়ারাবাজার পওর উপ-বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (অঃ দাঃ) মো. শমশের আলী জানান, সুরমা নদী ভাঙন কবলিত পূর্ব মাছিমপুর ও পশ্চিম মাছিমপুরের বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট রিপোর্ট প্রেরণ করা হয়েছে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
মামলা করে নিরাপত্তাহীনতায় ভিকটিমের পরিবার

মামলা করে নিরাপত্তাহীনতায় ভিকটিমের পরিবার